বাংলা নিউজ ডেস্কঃ নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য নামাজের ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নতগুলো ঠিকমতো পালন করা উচিত। অন্যথায় নামাজ ঠিকমতো আদায় হবে না। নামাজে যেসব নিয়ম মানতে হয় তার অন্যতম হলো বৈঠকের সময় উরুতে হাত রাখা।
নামাজের বৈঠকে দুই হাত দুই উরুর উপর কীভাবে রাখবে এ ব্যাপারে একাধিক হাদীস রয়েছে।
যেমন, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাশাহহুদের জন্য বসতেন তখন ডান হাত ডান উরুর উপর এবং বাম হাত বাম উরুর উপর রাখতেন।… (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৫৮০ (১১৬)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে আরেক বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাশাহহুদের জন্য বসতেন তখন বাম হাত বাম হাঁটুর উপর এবং ডান হাত ডান হাঁটুর উপর রাখতেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৫৮০ (১১৫)
উভয় হাদিসের ওপর যেন আমল হয়ে যায় এজন্য হাদিসের আলোকে ফিকহবিদগণ বলেছেন যে, উভয় হাত এমনভাবে উরুর উপর রাখবে যেন হাতের আঙ্গুলগুলো হাঁটুর নিকটবর্তী থাকে।
আর বৈঠকে তাশাহুদের মধ্যে কালিমাতুশ শাহাদাতের প্রথমাংশ আশহাদু আল্লা ইলাহা বলার সময় ডান হাতের শাহাদাত আঙুল দ্বারা ইশারা করতে হয়। আর দ্বিতীয়াংশ ইল্লাল্লাহ বলার সময় ইশারা বন্ধ করে আঙুল নামিয়ে নিতে হয়। মূলত এক আঙুল দ্বারা আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয় এ কথা বোঝানোর জন্যই ইশারা করা হয়।
ইশারা করার সময় ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির সঙ্গে মধ্যমাঙ্গুলি মিলিয়ে গোল বৃত্ত বানাতে হয়। তারপর শাহাদাত আঙুল উঁচিয়ে আল্লাহর নীরব ঘোষণা দিতে হয়।
এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ বিন যুবাইর রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. যখন দোয়া করার জন্য (তাশাহুদের বৈঠকে) বসতেন তখন ডান হাত স্বীয় ডান ঊরুর ওপর এবং বাম হাত স্বীয় বাম ঊরুর ওপর রাখতেন। আর শাহাদাত আঙুল দ্বারা ইশারা করতেন।
(এ সময়) তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলি মধ্যমার সঙ্গে সংযুক্ত করতেন এবং বাম হাতের তালু (বাম) হাঁটুর ওপর রাখতেন।
(সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৫৭৯, সহিহ ইবনে হিব্বান : ৫/২৭০, ইলাউস সুনান ৩/১০৯; হেদায়া, ফাতহুল কাদীর ১/২৭১; আসসিআয়াহ ২/২১৫; আলবাহরুর রায়েক ১/৩২৩; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/১৮১; শরহুল মুনইয়াহ ৩২৮)