কুমিল্লা ময়নামতিতে আদালতের সিদ্ধান্ত অমান্য করে জমি দখলের চেষ্টা ও ভূমি মালিকের উপর হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এবিষয়ে বুড়িচং থানায় অভিযোগ করে ফেরার পথে বাদির উপর পুনরায় হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। ট্রান্সপোর্ট মালিক স্থানীয় বাসিন্দা মৃত নাজির উদ্দিন আহমেদ ও ফারজানা আহমদের পরিবারের সাথে স্থানীয় হাবিবুর রহমান সর্দার এর সাথে জায়গাটি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে আদালতে মামলা চলে আসছে। বর্তমানে এই জায়গাটিতে তাদের সন্তান খন্দকার মুতাব্বির আহমেদ জনি ফারজানা ট্রান্সপোর্ট এর অফিস ও ইন্টারনেট অফিস চালাচ্ছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ জানুয়ারী ২০২৫ কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের ফরিজপুর এলাকায় ফারজানা ট্রান্সপোর্ট ও ডেফোডিল আইটি ইন্টারনেট অফিসে আদালতে চলমান মামলা উপেক্ষা করে পেশিশক্তির জোরে হামলা চালায় ও জমি দখল করতে আসে হাবিবুর রহমান উরফে হাবু সরদার ও তার সন্ত্রাসীরা। ওই মুহর্তে অফিসে উপস্থিত ছিলেন ট্রান্সপোর্টের স্বত্যাধীকারি খন্দকার মুতাব্বির আহমেদ জনি।হত্যার উদ্দেশ্যে জনির উপর হামলা করলে ম্যানেজারের চিৎকারে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে জনিকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। তবে সন্ত্রাসীরা ম্যানেজার নুরুল ইসলাম রানা ও অফিসে উপস্থিত কয়েকজনকে মারধর করে ও ট্রান্সপোর্ট ও অনলাইন অফিস ভাংচুর করে।এবিষয়ে ম্যানেজার বাদি হয়ে রামপাল এলাকার আবুল কালাম সর্দার ,সুলতান আহমেদ সরদার, মোঃ আতিক, মোঃ কাশেম, মোঃ জুয়েল, মোঃ ফারুকসহ আরও অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ বুড়িচং থানায় জমা দেন।
বাদি সংবাদ মাধ্যমকে আরও জানায়, বুড়িচং থানায় অভিযোগ দিয়ে ফেরার পথে খাড়াতাইয়া এলাকায় আসলে কয়েকটি মটর সাইকেল সিএনজি আটকিয়ে তাকে মারধর করে । এতে তার পায়ের হাড় ভেঙ্গে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হামলায় আরও উপস্থিত ছিলো ইমরুল, মোস্তফা, বিল্লাল, কালা মিয়া সহ বহিরাগত সন্ত্রাসীরা।
খন্দকার মুতাব্বির আহমেদ জনির পরিবার আরো জানায়, তার উপর হামলাকারীরা পূর্ব পরিকল্পনা করে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে। কারন ঘটনার পর দিনই আসামীদের ৪জন দেশত্যাগ করে। তারা বিমানের টিকেট রেডি করে তাকে মেরে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলো কিন্তু এলাকার সাধারন মানুষ এগিয়ে আসায় তার প্রাণ রক্ষা পায়।